Thursday 28 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫৪৮ কোটি টাকা পাচার, এস আলমের বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১১

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ – (ফাইল ছবি : সংগৃহীত)

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নিজ মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫৪৮ টাকা তুলে পাচারের অভিযোগে বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

দুদকের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা ও আকিজ উদ্দীন এবং মেহের স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক শওকত উসমান, টপ টেন ট্রেডিং হাউজের মালিক আলমাছ আলী, গোল্ড স্টার ট্রেডিং হাউজের মালিক বেদারুল ইসলাম এবং আলম ট্রেডিংয়ের মালিক নুরুল আলম।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এস আলম গ্রুপের সেসময়কার মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৪৮ কোটি টাকা মেহের স্পিনিং, টপ টেন ট্রেডিং, গোল্ড স্টার ট্রেডিং ও আলম ট্রেডিংয়ের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করেন। এরপর সেই টাকা নেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এস আলম সুপার এডিবল অয়েল, সোনালী ট্রেডার্স, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের নামে ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় চলতি হিসাবে। এরপর সেই টাকা পাচার করা হয়েছে বলে ‍দুদকের তদন্তে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯ ও ৪২০ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের বেসরকারি ব্যাংক খাতে সুনামের সাথে নেতৃত্ব দেয়া ইসলামী ব্যাংক গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘দখলে’ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির সিংহভাগ মালিকানা তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইসলামী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ উঠেছে এস আলমের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার এসে ব্যাংকটিকে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে।

সারাবাংলা/আরডি/আরএস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর