সাতক্ষীরা: হালকা হলদে রঙের পুরানো ভবন। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা পিলার। ভবনটির নিচতলার পিলারে ভয়াবহ ফাটল। সিঁড়ি ও ছাদের প্লাস্টার খসে পড়া, দেয়ালে ফাটল ধরলে ও নিয়মিত চলছে পাঠদান। ফলে আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামে অবস্থিত পাতাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের একমাত্র তিনতলা ভবনটি ১৯৯৮-৯৯ সালে নির্মিত। ঘূর্ণিঝড় আইলা, বুলবুল, আম্পানসহ একাধিক ভয়াবহ দুর্যোগে এটি সাইক্লোন শেল্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ইমামা জাহান ইমা বলেন, ‘আমাদের ক্লাস করতে ভয় করে। দড়ি দিয়ে পিলার বেঁধে রাখেছে। আমরা নতুন একটা ভবন চাই, সেখানে নিশ্চিন্তে পড়ালেখা করতে পারব।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘রংচং করে আর জানালায় গ্লাস লাগিয়ে একটু উপযোগী করা হয় কিন্তু আদতে এ ভবন দুর্বল হয়ে গেছে।’
আইসিটি শিক্ষক এস এম লিয়ন রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যেই পাঠদান চলছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে কখন উপর থেকে ছাদ খসে মাথায় পড়ে যায় বলা যায় না।’
অভিভাবকেরা বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনো কোনো সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।