বাড্ডায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত অমিত ছিলেন চাকরিজীবী
৬ জুলাই ২০১৮ ১৮:১১ | আপডেট: ৬ জুলাই ২০১৮ ১৮:১২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২ যুবকের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। মাহবুব আলম অমিত (৩০) নামের ওই যুবক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার নামে কোনো মামলাও ছিলো না বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
নিহত অমিতের বাবার নাম মো. ফিরোজ আহমেদ। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার মীরের হাওলা গ্রামে। শুক্রবার (৬ জুলাই) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে অমিতের বাবা ও স্ত্রী যুথী আক্তার লাশ সনাক্ত করেন।
অমিতের বাবা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘স্ত্রী যুথী ও ২ সন্তানকে নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সাংবাদিক কলোনিতে থাকতো অমিত। সে একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার গ্রাফিক্সে চাকরি করতো।’
স্ত্রী যুথী আক্তার বলেন, ‘গত বুধবার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন অমিত। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সে। গতকাল রাতে অপরিচিত এক নাম্বার থেকে তাদের ফোন দিয়ে জানানো হয়, অমিতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। পরে মর্গে এসে অমিতের লাশ দেখতে পাই।’ অমিতের নামে কোনে মামলা ছিল না, বলেও জানান তার স্ত্রী।
ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ মুন্সীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, মৃতদেহ দু’টির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন, বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, অমিতের বুক, পেট ও পিঠে মোট ১৯টি রক্তাক্ত ছিদ্র রয়েছে। অপর মৃতদেহে ১২টি ছিদ্র রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও