ঢাকা: দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলে গত ২০২২ সালের আগস্টে গঠিত প্রায় তিনবছর মেয়াদী এ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের মেয়াদ চলতি পঞ্জিকা বছরের গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। বর্ধিত সময়সীমা অনুযায়ী এ স্কিমের আওতায় আগামী ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ দেওয়া যাবে।
সম্প্রতি (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সময়সীমা বাড়ানো ছাড়া মূল সার্কুলারের (২৫ আগস্ট, ২০২২) অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
মূল সার্কুলারে বলা হয়, দেশে গম ও ভুট্টার পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এগুলোর উৎপাদনের পরিমাণ যথেষ্ট নয়। এ কারণে গম ও ভুট্টা এবং এগুলো থেকে উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্যাদির সরবরাহ স্বাভাবিত রাখতে প্রতি বছর গম ও ভুট্টা আমদানির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। এ প্রেক্ষিতে দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মূল সার্কুলার অনুযায়ী, এ স্কিমের আওতায় ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’য় সংজ্ঞায়িত ভূমিহীন কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ ০.৪৯৪ একরের কম), ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক (যাদের জমির পরিমাণ ০.৪৯৪ একর থেকে ২.৪৭ একর) এবং বর্গাচাষিদের ৪ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন (শুধুমাত্র ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) ঋণ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপি কোনো কৃষক/গ্রাহক-কে এ স্কিমের আওতায় ঋণ দেওয়া হয় না।