চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘাতের ঘটনায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি এবং কোনো আটক-গ্রেফতারও নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সারাবাংলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান রাফি জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ভবন ও বিভাগগুলো যথারীতি খোলা আছে। সেখানে দাফতরিক কাজ চলছে। তবে, ক্লাস হচ্ছে না। সকল পরীক্ষা স্থগিত আছে।
এর ফলে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর আনাগোনা একেবারেই কম। ক্যাম্পাসজুড়ে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর, শহিদ মিনার এলাকা একেবারেই ফাঁকা দেখা গেছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাস ও শাটল ট্রেন যথারীতি চলাচল করছে।
গতকালও (রোববার) সংঘর্ষের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই হয়নি। এরপর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবারের সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ও রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত দুই শতাধিক আহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। সংঘর্ষের একপর্যায়ে রোববার দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু কাওছার মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক-গ্রেফতারও করা হয়নি।