নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযানের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে রাখে হকার, ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মাইজদী পৌর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে ফুটপাত উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পৌর বাজারের সামনে গিয়ে বেকুমেশিন দিয়ে ফুটপাতে থাকা দোকান উচ্ছেদ ও জিলা স্কুলের সামনে মাইক্রো স্ট্যান্ডে পার্কিং এ থাকা কয়েকটি গাড়ি ভেঙে দেয়। এতে হকার ও ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হকার ও পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, পূর্বে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়া দুপুরে আনসারসহ একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসে জিলা স্কুলের সামনে মাইক্রো স্ট্যান্ডে পার্কিং এ থাকা কয়েকটি গাড়ি বেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে দেয়। পরে তারা পৌর বাজারের সামনে দোকানপাট উচ্ছেদ করে। এ সময় পরিবহন শ্রমিক ও হকার-ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় একদল উৎশৃঙ্খল লোকজন ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’