চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সিদ্ধান্তগুলো হলো- আহত শিক্ষার্থীদের সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে (এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সকল ব্যায়ভার বহন করছে)। শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা মনিটর করার জন্য ৫ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চবি সংলগ্ন একটি মডেল থানা স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশবক্স স্থাপনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আজকের (সোমবার) মধ্যেই উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় ঠিক করার জন্য মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি হটলাইন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ‘
এর আগে বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্প্রীতি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়ব চৌধুরীসহ প্রশাসনে দায়িত্বরত অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।