Monday 01 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তথ্য গোপন করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত ডা. ফাতেমা দোজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৫৩

ডা. ফাতেমা দোজা

ঢাকা: সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর গোপনে পুনরায় যোগদান, যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্রে জালিয়াতি এবং ফৌজদারি মামলায় কারাভোগের তথ্য গোপন করার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওএসডি সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(গ) মোতাবেক অসদাচরণ ও পলায়ন এর দায়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিভাগীয় মামলা (নং ৪২/২০২৩) রুজু করেন। ডা. ফাতেমা দোজা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানি না চাওয়ায় অভিযোগ তদন্তের জন্য উক্ত বিধিমালার বিধি ৭(৩) অনুসারে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ডা. ফাতেমা দোজাকে গুরুদণ্ডস্বরূপ চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং কেন উক্ত দণ্ড তার উপর আরোপ করা হবে না, তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, ডা. ফাতেমা দোজা দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন এবং জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গুরুদণ্ডস্বরূপ তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকমিশনের মতামত চাওয়া হলে কমিশন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির নিকট প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে পেশ করা হলে রাষ্ট্রপতি উক্ত প্রস্তাব অনুমোদন করার পর সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৪(৩) (ঘ) মোতাবেক ডা. ফাতেমা দোজাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে জারিকৃত উক্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, ডা. ফাতেমা দোজা ২০১২ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলেও বিষয়টি গোপন রেখে ২০১৩ সালের জুনে একই প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক পদে পুনরায় যোগ দেন। অনুপস্থিতির সময়ে তিনি কোনো ছুটি নেননি এবং হাজিরা খাতায় সইও করেননি। আর ২০০৪ সালে গৃহকর্মী নির্যাতনের এক মামলায় তিনি চার মাস এক দিন কারাভোগ করেছিলেন। তবে এ তথ্য গোপন রেখে পরবর্তী সময়ে বেতন, ভাতা ও পদোন্নতি ভোগ করেন। এ ছাড়া ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত উত্তর আমেরিকা রেডিওলজি সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্রে জালিয়াতির অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবশেষে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

সারাবাংলা/এমএইচ/এসএস

চাকরি ডা. ফাতেমা দোজা তথ্য গোপন বরখাস্ত

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীতে রদবদল
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর