ফরিদপুর: ফরিদপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এর মধ্যে জেলা বিএনপির দুটি অংশ এবং মহানগর বিএনপির একটি অংশ ছিল।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে ফরিদপুর শহরে বিএনপির তিনটি অংশ পৃথকভাবে সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করেছে।
বিকেল ৪টার দিকে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার কঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রাটি থানা রোড, জনতা ব্যাংকের মোড় ও আলীপুর মোড় হয়ে আলীপুর গোরস্থান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মুজিব সড়কের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুলের সামনে থেকে জেলা বিএনপির আরেকটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন। শোভাযাত্রাটি শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়াও ফরিদপুর মহানগর বিএনপিও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করে। বিকেল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণ সমাজ সড়ক থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ুম। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলীপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক টিমের টিম প্রধান ডা. আসাদুজ্জামান রিপনের। কিন্তু তিনি ফরিদপুরের কোনো কর্মসূচিতেই যোগ দেননি।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, ফরিদপুরের কর্মসূচিতে আসাদুজ্জামান রিপনের আসার কথা ছিল। তবে তিনি কেন আসেননি, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি আরও বলেন যে, আসাদুজ্জামান রিপন যে আসবেন না, তা তাদের জানানো হয়নি।
অপরদিকে, জেলা বিএনপির অপর অংশের নেতা, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন বলেন, জেলা বিএনপি বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠান করছে—এই খবর পেয়েই হয়তো আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুরের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেননি।