Friday 24 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেন্ডারভিত্তিক হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৪

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: জেন্ডারভিত্তিক হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (স্কুল রিলেটেড জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স- এসআরজিবিভি) থেকে সুরক্ষা সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা (গাইডলাইন) প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক চিঠিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ গাইডলাইন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

ওই চিঠিতে বলা হয়, অধিদফতর কর্তৃক লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (লেইস) প্রজেক্ট বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় অক্টোবর ২০২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তির অন্যতম শর্ত হলো: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বুলিং মোকাবিলা ও প্রতিরোধ। লেইস প্রকল্প কর্তৃক ‘মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা স্কুল রিলেটেড জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স-এসআরজিবিভি থেকে সুরক্ষা প্রদান সংক্রান্ত গাইডলাইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। ঋণচুক্তির শর্তানুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ গাইডলাইন অনুসরণ হবে।

গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে-

* সেক্সুয়াল হ্যারেসম্যান্ট প্রিভেনশন কমিটি (এসএইচপিসি) বা জেন্ডারভিত্তিক হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।

*সহিংসতা রোধ কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

* জেন্ডারভিত্তিক হয়রানি,সহিংসতা বা বুলিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীকে মনোসামাজিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রেফারেল গাইডলাইন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সাপোর্ট না পেলে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট রেফারেল পাথওয়ের আওতায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি সার্ভিস ম্যাপিং থাকতে হবে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি যে এলাকায় অবস্থিত, সেটির আশপাশে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কী কী ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেগুলো সম্বন্ধে একটি পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের একটি হালনাগাদ তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংরক্ষণ ও সরবরাহ করতে হবে।

* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থীকে নিকটবর্তী কোনো মনোবিজ্ঞানী অথবা কোনো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের নিকট পাঠাতে হবে। প্রয়োজনবোধে শিক্ষার্থীকে টেলি-কাউন্সিলিং ভিত্তিক অথবা নিরাময় পেসেন্ট আ্যপ ইত্যাদি সার্ভিসগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে চাকরি
২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর