পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নুতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে হামলাটি ঠেকানো সম্ভব হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশটির গণমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিন সকালে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে বান্নুর ফেডারেল কনস্ট্যাবুলারি লাইনের প্রধান গেটে হামলা চালায়। বিস্ফোরণের পর হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং এফসি সদস্যরা সম্মিলিত অভিযান শুরু করেন।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক জুলফিকার হামিদ জানান, অভিযানের এক ঘণ্টার মধ্যেই পাঁচ জঙ্গির মধ্যে চারজনকে হত্যা করা হয়। পরে পঞ্চম হামলাকারীও নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ওই এলাকায় তল্লাশি ও অনুসন্ধান অভিযান চলছে।’ প্রাথমিকভাবে, এই অভিযানে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বান্নু, পেশোয়ার, কারাক, লাক্কি মারওয়াত এবং বাজাউরসহ প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (PICSS)-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের আগস্টে সন্ত্রাসীর সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসের তুলনায় সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে ৭৪ শতাংশ, যা গত এক দশকের মধ্যে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ মাস’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (TTP) সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার পর থেকেই পাকিস্তানে হামলার ঘটনা বাড়ছে। গত মাসেও বান্নুতে একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন এবং তারও আগে জুলাই মাসে ড্রোন ব্যবহার করে একটি থানায় হামলা চালানো হয়েছিল।