ফিলিস্তিনের গাজায় একদিনেই ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই ত্রাণপ্রার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আল-সাবরা মহল্লা। এ এলাকায় কয়েকদিন ধরে টানা বোমা ফেলা হচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় একটি ত্রাণ শিবিরও আক্রান্ত হয়। সেখানে ৩২ জন হতাহত হন।
নিহতদের মধ্যে সাত শিশুসহ কমপক্ষে ২১ জন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় ইসরায়েলি ড্রোনের আঘাতে নিহত হন।
এদিকে, লক্ষ্যবস্তু হামলা এবং অনাহারের দ্বৈত হুমকির মুখে ফিলিস্তিনিরা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন আরও ১৩ জন। এ নিয়ে ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। ত্রাণ সরবরাহে ভাটা পড়ায় দুর্ভিক্ষ আরও মারাত্মক রূপ নিচ্ছে।
২২ আগস্ট গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮৩ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
সর্বশেষ হামলায় আরও দুই সাংবাদিক, আল-মানারা থেকে রাসমি সালেম এবং ইমান আল-জামলি নিহত হয়েছেন। ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে নিহত সাংবাদিকের মোট সংখ্যা ২৭০ জনেরও বেশি দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই অভিযানের লক্ষ্য শুধু হামাসকে পরাজিত করা নয় বরং পুরো ‘ইরানি অক্ষকে’ দুর্বল করা। এর মধ্যে রয়েছে গাজা, লেবানন, সিরিয়া, ইরান ও ইয়েমেনের হুতিরা।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়াল জামির নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা সিটিতে স্থল অভিযান এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান আরও তীব্র হবে।’