নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গাঁজা সেবন করে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে তপন চন্দ্র মজুমদার (৪৩) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডালিম চন্দ্র মজুমদার (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তপন চন্দ্র মজুমদার একই ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। অন্যদিকে, আটক ডালিম চন্দ্র মজুমদার একই গ্রামের ভবতোষের বাড়ির ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডালিম ও তপন দুই বন্ধু প্রায় একসঙ্গে গাঁজা সেবন করত। মঙ্গলবার রাতে গাঁজা সেবনের কিছুক্ষণ পর উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপযায়ে ডালিম তপনকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পুকুরে পড়ার সময় তপন ডালিমকে সঙ্গে নিয়ে পড়ে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় মিস্ত্রি মো. মনসুর (৪৫) ও অটোরিকশা চালক নারায়ণ মজুমদার (৪৭) ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা ডালিমকে ওই পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে। তপনকে পুকুরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর রাত ২টার দিকে তপনের লাশ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ডালিমের হাতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে নিহত তপনের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।