দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা বলতে গেলে ছিলই না তার। অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ড দলের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার জেড স্পেন্সার। আর এতেই হয়েছে নতুন ইতিহাস। ইংল্যান্ড সিনিয়র ফুটবল দলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছেন কোনো মুসলিম ফুটবলার।
স্পেন্সের জন্ম ও বেড়ে ওঠা লন্ডনে। তার মা কেনিয়ান, বাবা জ্যামাইকান। তার বড় বোন কার্লা-সিমোন স্পেন্স বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পেশাদার ফুটবলে পা রাখার ৭ বছর পর অবশেষে জাতীয় দলে ডাক পেলেন এই টটেনহ্যাম হটস্পার ফুটবলার।
জাতীয় দলে ডাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্পেন্স, ‘দলে ডাক পাওয়ার খবরটি দেখেছি আমি। এটা একটা আশীর্বাদ। এটা অসাধারণ এক ব্যাপার। আমি জানার পর খুবই অবাক হয়েছি! ইংল্যান্ডের হয়ে আমিই প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামব! দারুণ ব্যাপার, সত্যি বলতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
প্রথম ‘প্রকাশ্য’ মুসলিম ফুটবলার হিসেবে কোনো চাপ অনুভব করছেন না স্পেন্স, ‘হয়তো চাপ অনুভব করছি, হয়তো নয়! এমনিতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে আমি চাপ অনুভব করি না। স্রেফ মুখে এক টুকরো হাসি নিয়ে ফুটবল খেলি, খুশি থাকি। বাকিটুকু নিজস্ব গতিতেই চলে।’
দলে ডাক পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্পেন্স, ‘প্রথম ব্যাপার হলো, আল্লাহই সর্বশক্তিমান। আমি অনেক প্রার্থনা করি, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে, সবসময় বিশ্বাস করেছি আল্লাহ আমার পাশে আছেন। যখন আমি জিতে চলেছি, খুব ভালো সময়ে আছি, তখনও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি, কারণ তিনি সবসময় আমার পাশে থাকে। আমার বিশ্বাস আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।’
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর অ্যান্ডোরার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।