Thursday 04 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডাকসু নির্বাচন
সিজারের রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ হাইকোর্টের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১৬ | আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৪

হাইকোর্ট। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতাসহ ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে করা মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদারের রিট শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে সিদ্ধান্ত হওয়ায় কোনো রিট শুনবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

রিটকারীর আইনজীবী সরদার আবুল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে রিট নিয়ে এসেছিল। আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাবির ভিসি আমার আত্মীয়। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগ ইনটারফেয়ার করেছেন। তাই আমরা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনবো না।’

বিজ্ঞাপন

আদালত বলেন, ‘আপনারা ভুল বুঝিয়ে রিটটি মেনশন করেছেন। আমরা যদি জানতাম এটা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তাহলে এটা নিতাম না। পরে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াসের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন সলিমুল্লাহ মুসিলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।

পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে জুলিয়াসের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন।

অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেন তিনি। এতে কাজ না হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/ইআ

ডাকসু নির্বাচন হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর