Thursday 04 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রম আইন সংস্কারে বাস্তবভিত্তিক চিত্র বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৩ | আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৭

ঢাকা: আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অনুযায়ী শ্রম মান ও শ্রমিকদের অধিকার জোরদার করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)। অন্যান্য খাত ভিত্তিক সংগঠনও একই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। মালিকরা বলছেন, সংস্কার অবশ্যই বাংলাদেশের বাস্তবতা। তবে তা হতে হবে শিল্পখাতের প্রেক্ষাপট ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ভিত্তিত। কোনো আরোপিত বাহ্যিক চাপের ভিত্তিতে হলে তা বস্তবায়ন কঠিন হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সরকার বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। সাম্প্রতিক আলোচনায় আইএলও ও ইইউ রোডম্যাপের অধীনে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ৯০ শতাংশেরও বেশি বিষয়ে অংশীজনরা (সরকার, শ্রমিক ও মালিক) ঐকমত্য হয়েছে। কিন্তু শ্রম আইন বারবার পরিবর্তনের ফলে মাঠপর্যায়ে এর কার্যকারিতা যাচাইয়ের সুযোগ খুবই সীমিত হয়েছে। মালিকরা মনে করিয়ে দেন যে, সংস্কার কার্যকর করতে হলে তা বাস্তবসম্মত, জাতীয়ভাবে গৃহীত এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগযোগ্য হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটি বলছে, কেবল কাগজে আইন পাশ করা নয়; বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিষ্ঠান ও শ্রমশক্তির সেই আইন কার্যকর করার সক্ষমতা নিশ্চিত করা। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ঘাটতি, দুর্বল শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা এবং অকার্যকর তদারকি ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সক্ষমতার অভাব রয়েছে। যদি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিদর্শন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং সামাজিক অংশীজনদের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলায় সমান্তরালভাবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তবে শ্রম আইনের নতুন সংশোধনী বাস্তবে কোনো সুফল দেবে না।

শ্রমবাজারে জরুরী প্রয়োজন হলো সক্ষমতা বৃদ্ধি—শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নতুন শিল্প বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও পুনঃদক্ষকরণ; একই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; যাতে তারা আইন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারেন। এই মৌলিক বিষয়গুলো সমাধান ছাড়া বারবার আইনি কঠোরতা আরোপ কেবল শিল্পখাতে অনিশ্চয়তা বাড়াবে, বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করবে এবং শ্রমবাজারে বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

মালিকরা আইএলও ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা ত্রিপক্ষীয়তার নীতি বজায় রাখেন এবং ভবিষ্যতে তাদের যেকোনো পর্যবেক্ষণ সরকার, শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে স্বচ্ছ আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর

শ্রম আইন সংস্কার

বিজ্ঞাপন

নতুন রূপে গুগলের সব অ্যাপ
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর