রাজবাড়ী: জেলার পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ফরিদপুর দুদক-এর একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় তার সঙ্গে সহকারী পরিদর্শক মো. শামীমসহ আরও দু’জন এনফোর্সমেন্ট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি কোষাগারের অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানকালে সরকারি নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। দলিল লেখকরা ১২ শতাংশ হারে টাকা নিয়ে দলিল সম্পাদন করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও পাওয়া গেছে। যেমন- ১৮৪২ নম্বর দলিলের এক লাখ ৬২ হাজার ৬৮০ টাকার পে-অর্ডার নকলনবিশ শামীম খান হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে তিনি তা জমা দেন। এই টাকা আত্মসাৎ বা অন্য কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মোমেন মিয়া বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যখন যে অফিসে আসেন সেটি উন্নয়নের জন্যই আসেন। এখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় কিনা, সে বিষয়ে কখনো আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। আমি নিজে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করি না।