Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংবিধানের নির্দেশনা মেনেই সবার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করছি’


৭ জুলাই ২০১৮ ১৩:২০

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণে জাতির পিতা যেভাবে করতে চেয়েছিলেন, সেইভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সংবিধানে দেশের সব মানুষের আবাসন ব্যবস্থা করার নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা দেশের সব মানুষের আবাসন ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।

শনিবার ( ৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর আজিমপুরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মতিঝিল কলোনিতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ২০ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের নির্দেশ মতই আমরা দেশের সব মানুষের আবাসান ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আমরা চাই প্রত্যেকটি মানুষের থাকার একটি ঘর থাকবে এবং তাদের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ হবে।’

সরকারি চাকরিজীবীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশটার উন্নতি করতে চাই। উন্নয়নের জন্য আমরা পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিচ্ছি। সেগুলো বাস্তবায়ন তো আমাদের সরকারি কর্মচারীরায় করে থাকেন। আর আপনাদের সহযোগিতা পেয়েছি বলেই আমরা কিন্তু এই অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম হয়েছি। সে কারণে যারা কাজ করছে তাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করা, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু ঢাকা শহর নয়, পর্যায়ক্রমে আমাদের পরিকল্পনা আছে, প্রতিটি জেলা উপজেলায় উন্নত মানের ফ্ল্যাট করে দেওয়ার। যেখানে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই ভালোভাবে থাকতে পারে এবং একটা কর্মপরিবেশ পায়। এ ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যা চলমান থাকবে।’

গ্রামের মানুষও গৃহহারা থাকবে না। অল্পকিছু আছে সেগুলোও আমরা করে দেব। যাদের জমি আছে তাদের জন্য ঘর করে দিচ্ছি। ভূমিহীনদের জন্য খাসজমিসহ ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আর এখন কেউ কুঁড়েঘরে বাস করে না। আমি প্রথবারেই সরকারে এসে বলেছিলাম, একখানা টিনের ঘর দিলেও আমি দেব। ইনশাল্লাহ এখন সবাই টিনের ঘরেই থাকে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

আবাসিক ফ্ল্যাটগুলো ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,  ‘এই বাসস্থান আজ আমরা করে দিয়ে গেলাম। এটাকে সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে সুন্দর জীবনযাপন করুন, এটা আমরা চাই।’

ঘর থেকে বের হওয়ার সময়, অফিস থেকে বের হওয়ার সময় নিজের হাতে ফ্যান-লাইটের সুইচ নিভিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১২৩ ভাগ বেতন বাড়িয়েছি। এটা তো কেউ কখনো করতে পারেনি। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা বাড়িয়েছি। ২০২০ সালের মধ্যে আরও যে ফ্লাটগুলো হচ্ছে, তাতে আবাসিক সুবিধা আরও বেড়ে যাবে।’

২০০৮ সালে দেশের মানুষ  নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে শত বাধার পরও জনগণ আবারও ভোট দিয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় আছে বলেই আজকে উন্নয়নগুলো চোখে পড়ছে। ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সরকার যে কাজগুলো শুরু করে তার অনেকগুলোই বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয় এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি কমিয়ে দেওয়া হয়।’

কিন্তু আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়বো।সেই লক্ষ্য পূরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আরও পড়ুন

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবনের উদ্বোধন

বিজ্ঞাপন

 

 

 

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর