Friday 05 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে সুবাতাস, সাত মাসে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট 
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৫

ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানিতে দাপুটে অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) ৪ হাজার ৯৮২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে দেশটিতে। ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সেসময় দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ৯৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীন ইউএস অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওটেক্সার তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে দেশটিতে পোশাক রফতানি হয়েছে ৭২৯ মিলিয়ন ডলারের। ২০২৪ সালের একই মাসে রফতানি হয়েছিল ৬৯৫ মিলিয়ন ডলারের। সে হিসাবে জুলাই মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পোশাক আমদানি করেছে ৪৫ হাজার ৭৯৯ মিলিয়ন ডলারের। গত বছরের একই সময়ে আমদানি করেছিল ৪৩ হাজার ৬৩৪ মিলিয়ন ডলারে। সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

ওটেক্সার তথ্যমতে, প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে কম্বোডিয়ার। দেশটির পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ২৪ শতাংশ। পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ৪ হাজার ৯৮২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। ৯ হাজার ৪৬৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর আগে ২০২৪ সালে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সাত মাসে রফতানি করেছিল ৮ হাজার ৮৯ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ। ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) দেশটিতে চীনের পোশাক রফতানি ৮ হাজার ৭৬৪ মিলিয়ন ডলার হলেও চলতি বছরে তা কমে ৬ হাজার ৯২৩ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সাত মাসে পোশাক রফতানিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, মেক্সিকোর ২ দশমিক ৪০ শতাংশ ও পাকিস্তানের ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে একই সময়ে রফতানি কমেছে হন্ডুরাস ও কোরিয়ার। দেশ দুটির রফতানি কমেছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ ও ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকেই নানা কারণে পোশাক খাতে অস্বস্তি বিরাজ করেছে। তার পরেও যুক্তরাষ্টের বাজারে পোশাক রফতনির ধারা অব্যাহত রাখাটা অনেক চ্যালেঞ্জর ছিল উদ্যোক্তাদের। এখানে সরকার ও উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতা ছিল।’ এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে, সর্বশেষ আগস্ট মাসে দেশের রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগস্ট মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) গত অর্থবছরের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর আগস্ট মাসে দেশের পোশাক রফতানিতেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটে। গত বছরের আগস্টে ৩ হাজার ৩২৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হলেও চলতি বছরের আগস্টে রফতানি কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৬৮ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ আগস্টে পোশাক রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয় ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই

তৈরি পোশাক পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্র রফতানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর