ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আয়োজন করল ‘২য় গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ধানমন্ডির সোবহানবাগে ড্যাফোডিল প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য দক্ষতা ত্বরান্বিত এবং শক্তিশালীকরণ (অ্যাসেট) প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা) মীর জাহিদ হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুহুল আমিন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য দক্ষতা ত্বরান্বিত এবং শক্তিশালীকরণ (অ্যাসেট) প্রকল্পের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব আল মাসুদ করিম, ড্যাফোডিল পরিবারের স্কিলস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ইকো সিস্টেম এর নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন ও ড্যাফোডিল পরিবারের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্ত ইন্সটিটিউশনসগুলোর নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস ও ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম জহিরুল উসলাম ফরহাদ প্রমুখ।
এবারের গ্রাজুয়েমন সেরিমনিতে ৪০০ জন ডিপ্লামা ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে মেধা তালিকায় সেরা ১৫ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গোল্ড মেডেল এবং ৩ জনকে চেয়ারম্যান এওয়ার্ড প্রদান করা হয় ও ২ জন শিক্ষার্থীকে সফল এরামনাই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর জাহিদ হাসান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনির মধ্য দিয়ে শেষ হলো আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এখন আপনাদের অর্জিত শিক্ষা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজে লাগানোর পালা। আপনাদের অর্জিত শিক্ষা সমাজ ও দেশের কোনো কাজে না আসলে সেটা হবে একটা অনেক বড় অন্যায় এবং আপনাদের বাবা মা, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার একটা বিরাট অপচয়। সুতরাং, আজ আপনারা প্রতিজ্ঞা করুন, আপনারা যা পেয়েছেন, তার বহুগুণ দেশকে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন, দেশকে ভালবাসবেন, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। সেই সঙ্গে নতুন বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখবেন। আর তা সম্ভব কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে। কারগরি শিক্ষার উন্ননয়নের মাধ্যমে কোনো দেশ যে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে পারে তার উদাহরণ চীন।’
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে দক্ষতার বাংলাদেশ।’
এ মুহূর্তে দেশে এবং বিদেশে বিশেষ করে জাপানে প্রচুর কারিগরি দক্ষ লোকের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে সৌভাগ্যবান যে, আমাদের ৬৫ শতাংশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগিয়ে আমরা প্রচুর দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে এ চাহিদা মেটাতে পারি।’