সুদানের দারফুর অঞ্চলে ভয়াবহ পাহাড়ধসে প্রায় ২০০ শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ এখনও চলছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ কাদার নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৩১ আগস্ট মারাহ পর্বতমালার তারাসিন গ্রামে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুদানি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ৩৭৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট আর্মির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেল-রাহমান আল-নাইর জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়াতে পারে।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ১৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪০ শিশু রয়েছে। তারা চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছে।
পাহাড়ের প্রায় অর্ধেক অংশ ভেঙে গ্রামটির ওপর ধসে পড়ে যার ফলে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ সবকিছু মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভূমিধসটি দুটি ধাপে ঘটে। প্রথম ধাপটি শুরু হয় ৩১ আগস্ট দুপুরে, আর কয়েক ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ধসটি পাশের গ্রামগুলোতে আঘাত হানে।
উদ্ধারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আরও ভূমিধস ঘটতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী এরই মধ্যে নিকটবর্তী এলাকায় সরে গেছেন, তবে তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা সামগ্রী ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছেন।
উল্লেখ্য, সুদান গত বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে সংঘাতের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে। এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।