Saturday 06 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মৃত মানুষকে পোড়ানো অন্যায় ও অমানবিক: জেলা জামায়াতের আমির

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১৮ | আপডেট: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:১৯

রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোেকট মো. নুরুল ইসলাম।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদী’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরীফে হামলা এবং লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।

রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, সর্বদলীয় ও সর্ব মহলের ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ মতে গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠক করে সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে গোয়ালন্দ উপজেলায় কোনো মিছিল হবেনা। গোয়ালন্দ উপজেলায় শুধুমাত্র সমাবেশ হবে। আমি নিজে ঘটনাস্থল (গোয়ালন্দ নুরাল পাগলের বাড়ি) পরিদর্শন করি এবং সেখানে মাটি সমতলে তার লাশ আনার বিষয়টি দেখতে পাই।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও লিখেছেন, উপস্থিত সাংবাদিকরা আমাকে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি তাদেরকে প্রশ্নের উত্তরে জানাই লাশ নামিয়ে সমতলে আনার কারণে গোয়ালন্দ উপজেলায় শুধুমাত্র সমাবেশ হবে মিছিল হবেনা। ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির দুই গ্রুপের সাথে ও গোয়ালন্দ উপজেলা ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালাল এবং অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে অধ্যক্ষকে এ.মুইথ হিরা, কাশেম মন্ডল কে মিছিল না করার সিন্ধান্তের বিষয়ে জানাই। তারা আমাকে আস্বস্ত করে আলোচনা করে ঠিক করবে এবং পরবর্তীতে আমাকে জানাবে। কিন্তু সেখানে মিছিল হবে সেটা আমার জানা ছিলো না। আমার সব বক্তব্য লাইভ আকারে আছে। আমি যা বলেছি মিডিয়ার সামনে বলেছি। তবে এ ঘটনায় আমি দুঃখিত। এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক। নুরাল পাগলের এই ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো এবং প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের কিছু সময় পরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা নামে এক ব্যক্তির দরবারে হামলা চালায় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা শরীয়ত পরিপন্থি পদ্ধতিতে দাফন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে নুরাল পাগলার মরদহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরীফে লুটপাট করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এছাড়া রাসেল মোল্লা নামের এক যুবক নিহত হন।

সারাবাংলা/এনজে

জামায়াতের আমির নুরাল পাগলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর