মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি সবসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির ভালো বন্ধু থাকব। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা আমি পছন্দ করি না।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে ‘খুবই বিশেষ সম্পর্ক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ও মোদি ‘সর্বদা বন্ধু থাকব’। তবে তিনি একইসঙ্গে ভারতের বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বন্ধু থাকব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সবসময় বন্ধু থাকব, কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা আমি পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি খুবই বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা ‘ভালোই চলছে’।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়। নতুন শুল্ক তালিকা অনুযায়ী, ভারতের রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এখন ৫০ শতাংশের বেশি, যা ব্রাজিল ছাড়া অন্য কোনো দেশের ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্ক। ভারত এই পদক্ষেপকে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানায়।
চীনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে মোদি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শন করেন। ভিডিও ও ছবিতে তিন নেতাকে হাত মেলাতে, আলিঙ্গন করতে এবং হাসিমুখে দেখা যায়। মোদি নিজেও দুই নেতার সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন, যা ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কের মধ্যেও তাদের ঐক্যের বার্তা বহন করে।
কয়েক দিন পর ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ভারতকে চীনের কাছে হারিয়েছে’। তবে পরে তিনি এই মন্তব্য স্পষ্ট করে বলেন, তিনি তা ‘বিশ্বাস করেন না’।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমরা ভারতকে হারিয়েছি। আমি খুব হতাশ যে ভারত রাশিয়া থেকে এত তেল কিনছে। আমি তাদের এটা জানিয়েছি। আমরা ভারতের ওপর একটি বড় শুল্ক বসিয়েছি – ৫০ শতাংশ, একটি খুব উচ্চ শুল্ক। আপনারা জানেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে খুব ভালোভাবে চলি। তিনি কয়েক মাস আগে এখানে ছিলেন, আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছি।’