ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না, তবে প্রশ্ন হচ্ছে—সংস্কার কতটা গভীর হবে। আমরা যে সংস্কার চাই, তা যেন শুধুই চেহারা বদলের সংস্কার না হয়।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে, অথচ বাংলাদেশে এখন বাস্তবতা হলো—যতো দ্রুত একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, দেশ তত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। যারা জনগণের সমর্থন পায় না, তারাই আজ পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। পিআর পদ্ধতির দাবি অবাস্তব এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। দেশের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান দ্রুত নির্বাচনেই সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি তিন মাসের মধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারত, তাহলে দেশ ভালো থাকতো। এখন যত দেরি হচ্ছে, ততই আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশকে উন্নতির পথে নিতে হলে আগে নিজ দেশের ভেতর থেকেই ব্র্যান্ডিং শুরু করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সংস্কার আনতেই হবে। দ্বিমত থাকবে, কিন্তু পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীলতা জরুরি।’
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপি সরকারে গেলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হবে। এটি কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি।’
তিনি প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন, ‘বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে তা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। আর কোনো অযৌক্তিক বা অবাস্তব পদ্ধতি দিয়ে রাজনীতি বা নির্বাচনি প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা হলে তাতে জনগণের আস্থা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’