ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেছে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধন রয়েছে অর্ধশত দলের। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী এবার ১৪৩টি দল আবেদন করে। বাছাইয়ে ঝরে পড়ে ১২১টি দলের আবেদন।
নিবন্ধন শর্ত পূরণ করছে কিনা তা যাচাইয়ে বাকি ২২টি দলের গঠনতন্ত্র, দলিলাদি, অফিসের অস্তিত্বসহ সামগ্রিক বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করছে ইসির কেন্দ্রীয় ও মাঠ কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে ২২টি নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় অফিস, জেলা-উপজেলা দফতর ও কমিটি, সমর্থক তালিকা যাচাইসহ মাঠ প্রতিবেদন আসতে শুরু করেছে। আর নিবন্ধন অযোগ্য দলগুলোকে বাছাইয়ে বাদ পড়ার কারণ তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সব কিছু পর্যালোচনা করে যোগ্যদের বিষয়ে বিজ্ঞপ্ত প্রকাশ, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে চলতি মাসে নতুন দল নিবন্ধনের কাজ চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ২২টি দলের বিষয়ে জেলাভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছি। ৬৪ জেলায় যার যে এরিয়ায় রয়েছে, সে ভিত্তিতে প্রতিবেদন দেবে। এরমধ্যে কিছু রিপোর্ট পাইপলাইনে আছে, কিছু রিপোর্ট আসছে।
একীভূত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এরমধ্যে কোন দলগুলো নিবন্ধন যোগ্য আর কোন দল নিবন্ধন শর্ত পূরণ করে নি-তা ইসির কাছে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা ২২টি দল হলো:
ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।