হিলি, দিনাজপুর: এক সময়ের আমদানি নির্ভর হিলি স্থলবন্দরে বাড়ছে রফতানি বাণিজ্য। চলতি বছরের গত জুন থেকে শুরু হয়েছে ভারতে দেশিয় কোম্পানির বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রফতানি। এ স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাসে ৩ হাজার ১২৫ টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে এবং এতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। এখানে রফতানি বাণিজ্য দীর্ঘস্থায়ী করার দাবি বন্দরের ব্যবসায়ীদের।
হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায় বন্দরের অভ্যন্তরে ও বাহিরে ভারতে রফতানির জন্য দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই ট্রাক।
হিলি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হচ্ছে ম্যাংগো ফুড ড্রিংকস, লিচি ড্রিংকস, কোমল পানীয়, সুইট টোস্ট, জেলি, চকলেট, চকোবিন টফি, মটর ভাজা কটন, রাইস ব্র্যান্ড ফেডি এসিড, রাইস ব্র্যান্ড ক্রুড অয়েলসহ আরও বেশকিছু পণ্য। তবে একই রাস্তা দিয়ে আমদানি-ড্রিংকস কার্যক্রম চলায় নিদিষ্ট সময়ের বাইরে পণ্য রফতানি কিংবা আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে রফতানিকারকদের প্রতিনিধি রাশেদ বলেন দীর্ঘদিন পর হলেও এ বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি শুরু হয়েছে এবং প্রতিদিন অনেক পণ্য ভারতে রফতানি করছি আমরা। ভারতে আমাদের দেশের অনেক পণ্যের চাহিদা আছে। সুযোগ-সুবিধা পেলে আমরা আরও রফতানি করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা চাইলেও ইচ্ছেমতো রফতানি করতে পারছি না,কারণ একমুখী রাস্তার কারণে রফতানি করলে আমদানি করতে পারি না। আবার আমদানি করলে রফতানি করতে পারি না। নিদিষ্ট সময়ে কিছু সংখ্যক ট্রাকে পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে। সেজন্য রাস্তা প্রশস্ত করা দরকার।
হিলি স্থল বন্দরে পণ্য বোঝাই ট্রাক -ছবি : সারাবাংলা
বাংলা হিলি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি ও রফতানিকারক ফেরদৌস রহমান বলেন শুধু ড্রিংকস আর বেকারি খাদ্য নয়, বরং আমাদের দেশের অনেক সবজির চাহিদা আছে ভারতে। তবে চাইলেও আমরা সেগুলো রফতানি করতে পারি না। কারণ ভারতের হিলি অভ্যন্তরে কোয়ারেন্টাইন অফিস নেই। এ সময় দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা গেলে এ বন্দর দিয়ে আরও পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে এবং অধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে গুটিকয়েক পণ্য রফতানি হলেও এখন অনেক পণ্য ভারতে যাচ্ছে। রফতানি পণ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।