ঢাকা: প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সমাজচিন্তক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৩১ সালে জন্ম নেওয়া বদরুদ্দীন উমরের পিতা মরহুম আবুল হাশিম ছিলেন মুক্তি সংগ্রামের একজন প্রবাদপুরুষ।
শোকবার্তায় এনসিপি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে মূলধারার বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ যখন ফ্যাসিবাদের বয়ান উৎপাদন ও সমর্থন করছিল, তখন বদরুদ্দীন উমর ছিলেন গণমানুষের পক্ষের চিন্তক ও রাজনৈতিক শক্তি। ২০২৪ সালের জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনের আগেই তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানোর কথা বলেছিলেন। গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানকেও তিনি গণঅভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন এবং এটিকে পূর্ববর্তী অভ্যুত্থানগুলোর তুলনায় ব্যাপক বলে স্বীকার করেছিলেন।
শোকবার্তায় আরও বলা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধানকে বদরুদ্দীন উমর সে সময়ই ‘চিরস্থায়ী জরুরি অবস্থার সংবিধান’ আখ্যা দিয়েছিলেন। একজন গবেষক ও লেখক হিসেবে তিনি তার লেখনীতে ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে মুজিববাদী পাঠের বিপরীতে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন।
এনসিপি মনে করে, নতুন বাংলাদেশে একাত্তরের জনযুদ্ধের প্রকৃত ও গণমানুষের ইতিহাসের পুনঃপাঠে বদরুদ্দীন উমর গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যুতে দেশ এক অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হলো।
শোকবার্তায় এনসিপি নেতৃবৃন্দ বদরুদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।