কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার ভাড়াটে বাসা থেকে মা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো মহিনুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪০) এবং তাদের মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২২)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত তাহমিনা বেগম তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে কালিয়াজুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। এক বছর আগে তার স্বামী নুরুল ইসলাম মারা যায়। তার বড় ছেলে আলামিন আহমেদ একজন আইনজীবী, তিনি ঢাকা থাকেন এবং ছোট ছেলে ফয়সাল আহমেদ কুমিল্লা ইপিজেডের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ফয়সালের স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। মাঝেমধ্যে কুমিল্লায় আসা যাওয়া করতো।
নিহতের ছেলে ফয়সাল বলেন, শুক্রবার তিনি ঢাকায় যান তার স্ত্রীর কাছে। গতকাল মধ্য রাতে তিনি কুমিল্লায় ফিরেন। বাড়িতে এসে তার মা বোনকে দরজা খোলার জন্য দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করলেও সাড়া না দেওয়ায় দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। ঘরের ভেতর থেকে একটি ছোট টেবিলের সাহায্যে দরজা লাগানো ছিল। ধাক্কা দেওয়াতে দরজাটি খুলে যায়। পরে ভেতরে গিয়ে দুইকক্ষে দুইজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে জানায়।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিহতের ছেলে ফয়সাল ভোর রাতের সময় ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতদের গলায় কিছুটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে আমরা বিষয়টা তদন্ত করছি এবং রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।’