ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি হবে তরুণ সমাজ।
তিনি বলেন, ‘শহিদ জিয়ার আদর্শে গড়া ছাত্রদল অতীতে রক্ত ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তাদের তাদের দেশ ভক্তি। খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব ও তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আগামীকাল ডাকসু নির্বাচনে তারা অগ্নিপরীক্ষায় অংশ নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব ছাত্র-ছাত্রীকে আহ্বান জানাই জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাস রেখে, জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ স্মরণ করে, ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে বিজয়ী করুন।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বিকশিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের অটুট ভালোবাসা, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং তারেক রহমানের ধৈর্য আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে, কিন্তু বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, ‘আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্তব্ধ করে রেখেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিএনপি ও এর সহযোগী শক্তি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। তারেক রহমানকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজের দুর্দান্ত সাহস ও নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
ফারুক দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারিম গভর্নমেন্টের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে—ইনশাআল্লাহ।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম, সিরাজীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।