রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে হয়রানি কিংবা গণগ্রেফতার করা হবে না। এই মর্মে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে পারে, কিন্তু সবাই নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকে না। তাই সবাইকে মামলার আসামি বা গ্রেফতার করা আইনসম্মত নয়। যারা প্রকৃত অপরাধী, আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে, কেবল তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা প্রকৃত অপরাধী, তারা যেই হোক না কেন, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
এদিকে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট নুরাল পাগলের দরবারে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা, হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাসেল মোল্লা (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। স্থানীয় ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়।