Monday 08 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাইব্যুনালে প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি
গ্যারেজ থেকে তুলে নিয়ে হৃদয়কে গুলি, লাশও গুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৩ | আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অংশ নেন হৃদয়। তবে তার আর ঘরে ফেরা হয়নি। পুলিশের গুলিতে মারা যান তিনি। লাশটিও গুম করে ফেলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল মাহমুদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

শেখ হাসিনার মামলায় ৩৮তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন সোহেল। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

জবানবন্দিতে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে আমার বাড়ির পাশে শরীফ মেডিকেলের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাই। ওই দিন কারফিউ ছিল। ছাত্রদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিও ছিল। দুপুর ১২টায় আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়িতে থাকতেই শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পারি। এরপর আবারও শরীফ মেডিকেলের সামনে যাই। সেখানে গিয়ে হাজারও লোককে বিজয় মিছিল নিয়ে এদিকে আসতে দেখি। আর উলটো দিক থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করতে থাকে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলটি।’’

বিজ্ঞাপন

‘ওই সময় আমিসহ কিছু লোক আমার বাড়িতে আশ্রয় নেই। আমার বোনজামাই হাফিজুর রহমান তপনের রিকশা গ্যারেজে আশ্রয় নেন কিছু লোক। ছাদ থেকেই তাদের দেখতে পাই। কারণ গ্যারেজটি আমার বাড়ির পাশেই। ওই সময় গ্যারেজ থেকে একজনকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এরপর আমার বাড়ির পাশের কবরস্থানের কাছে নিয়ে তাকে গুলি করেন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই ওই লোক মারা যান। সঙ্গে সঙ্গেই লাশটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গুলি করার সময় ওসি আশরাফ ও ডিবির একজন কর্মকর্তা ছিলেন। পরে গুলিবর্ষণকারীর নাম জানতে পারি। তিনি হলেন কনস্টেবল আকরাম। আর নিহতের নাম হৃদয়।’

পরদিন তথা ৬ আগস্ট হৃদয়ের লাশটি পুলিশ গুম করে ফেলেন বলেও জানতে পারেন এই প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘থানা থেকে অস্ত্রশস্ত্রসহ হৃদয়ের লাশ নিয়ে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। আমি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অন্যান্য মন্ত্রী, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জিনা করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।’

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই

গাজীপুরের কোনাবাড়ী জবানবন্দি জুলাই গণঅভ্যুত্থান ট্রাইব্যুনাল লাশ গুম

বিজ্ঞাপন

উত্তাল নেপাল, কিন্তু কেন?
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪০

আরো

সম্পর্কিত খবর