Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিজার্ভ চুরি: সিআইডির প্রতিবেদন ফিলিপাইন আদালতে


৭ জুলাই ২০১৮ ১৬:০৯ | আপডেট: ৭ জুলাই ২০১৮ ১৭:৩৬

।। গোলাম সামদানী ও উজ্জল জিসান।।

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফরেনসিক প্রতিবেদন ফিলিপাইনের আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদবেদনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)‘র দুই কর্মকর্তা ফিলিপাইনের আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেন। এরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিম হোসেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ৫ জুলাই সিআইডির দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা ফিলিপাইনের আদালতে রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই সময় আদালতে সিআইডির পক্ষ থেকে একটি ফরেনসিক প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বির্জাভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কির ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ চুরি করে নেওয়া হয়। চুরি হওয়া এই অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার এবং ফিলিপাইন থেকে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনা হয়েছে। ফিলিপাইনে থাকা অবশিষ্ট ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার (৫৪৪ কোটি টাকা) এখনো ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। কবে আনা যাবে কিংবা আদৌ এটা আনা যাবে কিনা তা নিয়েও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে চুরি হওয়া ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার ছাড়াও রিজার্ভ থেকে আরো ১৯৪ কোটি ডলার চুরি করার চেষ্টা করা হলেও বানান ভুলের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। এছাড়াও এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় ধরনের রদবদলের ঘটনা ঘটে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মানি লন্ডারিং আইনের ১০১ ডলার চুরির অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। এরইমধ্যে ২ বছর তিন সময় সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সিআইডি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেনি। বরং আদালত থেকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এখন পর্যন্ত ২৪ বার সময় নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের এ মুহূর্তে করণীয় হলো, প্রশাসনিক ও সিআইডি‘র তদন্ত প্রতিবেদনর দুইটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ ফিলিপাইনের রিজার্ভ ব্যাংকের জন্য ৫০০/৬০০ কোটি টাকা তেমন কিছু না।’

সারাবাংলা/ জিএস/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর