নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে নেপালে। এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেল ও প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবকদের বিদ্রোহের মুখে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতেই সমাজমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে নেপাল সরকার। এবার মঙ্গলবার সকাল থেকে ওলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে নতুন করে পথে নামেন বিক্ষোভকারীরা।
ছাত্ররা স্লোগান দিচ্ছে, ‘কেপি চোর, দেশ ছোড়’। নেপালের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতেও স্লোগান ওঠে মঙ্গলবার সকালে।
ললিতপুর জেলার খুমালতারে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনে চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় তার বাড়িও।
সমাজমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি। বরং নতুন উদ্যমে পথে নেমেছেন ছাত্র-যুবকেরা। মঙ্গলবার কাঠমান্ডু এবং সংলগ্ন ললিতপুর ও ভক্তপুর জেলার বেশ কিছু এলাকায় কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্ফিউ চলছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন প্রান্তে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কার্ফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন।
একই নির্দেশিকা জারি করেছে ভক্তপুর জেলা প্রশাসনও। ললিতপুরের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কার্ফু জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে কার্ফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার ফের পথে নামতে দেখা গিয়েছে নেপালের ছাত্র-যুবকদের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’ অনুসারে, মঙ্গলবার সকালে কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এবং অন্য এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তরুণেরা।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বার্তা সংস্থাকে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা এখানে বিক্ষোভ করতে এসেছি কারণ আমাদের তরুণ ও বন্ধুদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক এবং এই সরকার উৎখাত হোক। কেপি ওলিকে বিতাড়িত করা উচিত।