কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার দায় স্বীকার করেছে। জানা গেছে, হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে একত্রিত হয়েছিলেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তারা কাতারের নাম উল্লেখ করেনি।
হামাসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছ, হামাসের যে নেতারা দোহায় ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
কাতারের দোহার কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ও ধোয়া উড়তে দেখা গেছে বলে বার্তা সস্থা এএফপি ও রয়টার্স জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বৈঠকটিতে হামাসের অন্যতম প্রধান নেতা খালেদ মাশাল উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জর্ডানে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল হামাস নেতৃবৃন্দের।
হামলার নিন্দা জানিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, ‘‘হামাসের রাজনৈতিক শাখার কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে আবাসিক ভবনে চালানো হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ইসরায়েলের এমন বেপরোয়া আচরণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ধারাবাহিক ছিনিমিনি খেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। একই সঙ্গে কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে চালানো যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও কাতার রুখে দাঁড়াবে। ’’