পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশের পর ১৯টি রুশ ড্রোনের মধ্যে চারটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে ন্যাটো ও পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী ভূপাতিত করেছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তথ্যমতে এ তথ্য জানা গেছে।
পোলিশ সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার হামলার সময় অন্তত ডজনখানেক ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তখনই অস্ত্র ব্যবহার করে সেগুলো ধ্বংস করা হয় এবং ভূপাতিত ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার অভিযান চলছে।
ড্রোন হামলার কারণে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পোল্যান্ডের চারটি বিমানবন্দর- ওয়ারশ’র শোপেন, রেজশোভ-জাশিয়াঙ্কা, মডলিন ও লুবলিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুধবার সকালে লুবলিন ছাড়া বাকি বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক নিশ্চিত করেছেন যে আকাশসীমা বারবার লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এটিকে তিনি বৃহৎ প্ররোচনা বলে আখ্যা দেন।
পূর্বাঞ্চলীয় ভিরিকি শহরে একটি ড্রোন আবাসিক ভবনে আঘাত হানলেও কেউ আহত হয়নি। এছাড়া লুবলিন অঞ্চলের চজসনোভকা গ্রাম ও চজেসনিকি শহর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টাস্ক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিস্লাভ কোসিনিয়াক-কামিশ সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘শত্রু ড্রোন ভূপাতিত করতে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, অন্তত আটটি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিরক্ষা কমিশনার আন্দ্রিয়ুস কুবিলিউস পূর্ব সীমান্তে ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে বেলারুশ সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পোল্যান্ড, যেখানে রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়া ‘জাপাদ-২০২৫’ শুরু হতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা হুমকির আশঙ্কায় লিথুয়ানিয়াও সীমান্ত নজরদারি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।