ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, করদাতাদের সুবিধা দিতেই অনলাইন রিটার্ন দাখিলের সময় সরাসরি ব্যাংকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংযোগ স্থাপন হলেও গ্রাহকের ব্যাংকের কোনো তথ্য এনবিআর কর্মকর্তার দেখতে পারবে না। এতে গ্রাহকের কোনো ভয় নেই।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবেন ‘মিট দ্যা বিজনেস শীর্ষক’ এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়া, সমস্যা ও ভোগান্তির কথা শুনতে প্রথমবারের মতো এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এনবিআর। প্রতিমাসের দ্বিতীয় বুধবার এ মিট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিজনেস মিটে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনলাইন রির্টানের ক্ষেত্রে ব্যাংকের তথ্য এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা দেখতে পাবেন না। এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেওয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। আয়করে অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে। যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।’
দেশের তামাক খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না- এমন মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘টোব্যাকো খাতে বড় অংকের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত একবছরে তিনহাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোড কেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়।’ এ সময় ব্যবসায়ীদের অটোমেশনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং উৎসে কর্তনকৃত কর—রিয়েল-টাইমে জানা যাবে। এর পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠে যে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।