কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছেন। নেপালের সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর এই খবর এলো। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে নেপালে কোনো সরকার নেই।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জেন-জির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদ চূড়ান্ত করতে জেন-জি গ্রুপ বর্তমানে জুম-এ আলোচনা করছে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য তিনটি নাম বিবেচনাধীন রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম। দুর্নীতির জন্য একজন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানোসহ বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী রায়ের জন্য তিনি সুপরিচিত।
কে সুশীলা কার্কি?
সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার কার্যকালে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
সাত সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কন্যা হিসেবে সুশীলা কার্কির পরিবার ছিল কৃষক পরিবারের। তাদের তৎকালীন নেপালের প্রধানমন্ত্রী বিপি কোইরালার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
কার্কি ১৯৭২ সালে মহেন্দ্র মোরং ক্যাম্পাস থেকে বিএ এবং ১৯৭৫ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
তার কার্যকালে তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী জয়প্রকাশ প্রসাদ গুপ্ত দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
২০১৭ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাসীন দল – নেপালি কংগ্রেস এবং সিপিএন (মাওবাদী সেন্টার) এর আইন প্রণেতারা তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব দাখিল করলে তিনি সাময়িকভাবে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বরখাস্ত হন। এর কারণ ছিল একটি কথিত পক্ষপাতমূলক রায়, যা যোগ্যতার ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন সংস্থার ক্ষমতাধর প্রধানকে অপসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।