ঢাকা: দেশের পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সহজীকরণ ও হয়রানিমুক্ত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আহ্বান জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর আয়োজিত মিট দ্যা বিজনেস শীর্ষক সভায় সংগঠনটির পক্ষে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়া, সমস্যা ও ভোগান্তির কথা শুনতে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এনবিআর। প্রতিমাসের দ্বিতীয় বুধবার এ মিট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
পোশাক শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেয় বিজিএমইএ। ওই বৈঠকে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী পোশাক শিল্পের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম।
এই মতবিনিময় সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), বিসিআইসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠন, চেম্বার এবং সরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী প্রতি মাসে সকল অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ায় এনবিআর চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে পোশাক শিল্প এখন গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়াকে সহজ ও হয়রানিমুক্ত করা না হলে দেশের এই প্রধান শিল্প খাতকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।’
বিজিএমইএ’র দেওয়া প্রস্তাবগুলো হলো-
নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি: বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে স্থানীয় ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া। পাশাপাশি, বন্ডেড প্রচ্ছন্ন রফতানিকারক থেকে নন-বন্ডেড প্রত্যক্ষ রফতানিকারকে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বন্ড লাইসেন্স থাকার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা।
এফওসি ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানি: বিনা মূল্যে প্রাপ্ত কাঁচামাল আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করা।
ভ্যাট অব্যাহতি: বন্ডেড প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়াশিং, প্রিন্টিং, ডাইং এবং এমব্রয়ডারি’র মতো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে অনুমোদন ও ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান।
সাব-কন্ট্রাক্ট সহজীকরণ: পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্ট কার্যক্রমগুলোকে আরও সহজ ও দ্রুত করা।
অপচয়ের হার পুনর্নির্ধারণ: ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদনে কাপড় থেকে পোশাক তৈরিতে যে অপচয় হয়, তার হার বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুনরায় নির্ধারণ করা।
বন্ড লাইসেন্সে এইচ.এস. কোড: বন্ড লাইসেন্সে এইচ.এস. কোড সংযোজনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতাগুলো দূর করা।
আসাইকুডা সিস্টেমের সার্ভার: রফতানি প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আসাইকুডা সিস্টেমের সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করা।