ঢাকা: শেয়ার কারসাজিতে অভিযুক্ত রাষ্ট্রায়ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফরচুন সুজ’র শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠাবে বিএসইসি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৭২তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হলো।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র আবুল কালাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে সংশ্লিষ্টতা থাকায় আইসিবির জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের কারসাজিতে জড়িত থাকায় মো. আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হবে। এছাড়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে আবুল খায়ের’র বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বরাবর পত্র দেওয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে কারসাজির আগে আইসিবি থেকে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার বেচা হয়। পরে আবার সেই শেয়ারই টাকার বা কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এতে সরকারি টাকা খরচ করে নিজেরা টাকা কামিয়েছেন।
এর আগে, প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা থাকলেও কোনো সময়ই প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার বিএসইসির শীর্ষ নেতৃত্ব সংস্কারের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বিগত দুই কমিশনের আমলে এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ও কারসাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করেছে।