ঢাকা: নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এবং ক্রীড়া সাংবাদিকসহ ৫৫ জনকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহনে জরুরিভিত্তিতে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগেরঅপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন বলেছেন, আগামীতেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ ও জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে আত্মনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সদা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলা সামরিক বিমানবন্দরে বিমানটি প্রত্যাবর্তনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন বলেন, ‘নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশ ফুটবল দল ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের জরুরি ভিত্তিতে দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে নেপালে আটকে পড়া ফুটবল দলকে দেশে প্রত্যাবর্তনে জরুরি পরিকল্পনা নেওয়া হয়।’
মো. আলীমুল আমীন আরও বলেন, ‘এ পরিকল্পনার আলোকে বৃহস্পতিবার ১১টা ৫৩ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর বিকেলে বিমানটি ফুটবল দল, টিম অফিসিয়াল ও সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেছে। নেপাল থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করা ৫৫ জন সদস্যদের মধ্যে ৩৮ জন খেলোয়াড়, কোচ, টিম অফিসিয়াল ও ডেলিগেট, ১৬ জন ক্রীড়া সাংবাদিক এবং একজন ছাত্র সমন্বয়ক রয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল নেপাল জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে দুটি খেলায় অংশগ্রহণের জন্য নেপাল গমন করে। পরবর্তীতে গত ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল কাঠমুন্ডুতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাফুফে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অনুরোধ করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আওয়ালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।