রাজবাড়ী: কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন-২।
শুক্রবার (১২সেপ্টেম্বর) এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড অর্গানাইজেশনের আয়োজনে রাজবাড়ী সরকারি কলেজে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাছাই পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
আয়োজকরা জানান, ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছে—জুনিয়র ক্যাটাগরি: ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি বা সমমান, সেকেন্ডারি ক্যাটাগরি: ৯ম-১০ম শ্রেণি বা সমমান, হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরি: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান। রাজবাড়ী জেলা থেকে ৬শত শিক্ষার্থী বাছাই পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের পর্বে অংশগ্রহণ করবে।

পরীক্ষায় রাজবাড়ীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে ৬০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাছাই পর্বের হল পরিদর্শন করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. কে. এম. ইকরামুল করিম।
এর আগে, বাছাই পর্ব অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. জিল্লুর রহমান।
অধ্যক্ষ প্রফেসর এ. কে. এম. ইকরামুল করিম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি কৃষিই বাংলাদেশের মূল শক্তি। অলিম্পিয়াডের মূল উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মের কিভাবে তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য পেতে পারে। এই অলিম্পিয়াডের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদের কৃষি সম্পর্কে নতুন চিন্তা, গবেষণা ও উদ্ভাবন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, পুষ্টিবিষয়ে উৎসাহ তৈরি এবং ভবিষ্যৎ কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা।’
অলিম্পিয়াডের সিইও মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ে সচেতন হবে এবং প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১০ লাখ টাকার গ্র্যান্ড ফান্ড, সার্টিফিকেট, পুরস্কার সামগ্রী, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সুযোগ এবং রিফ্রেশমেন্ট ট্যুর।’
এ সময় অলিম্পিয়াডের রাজবাড়ী জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মারফিয়ারা খাতুন, জেলা জনসংযোগ কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস এবং সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা ওয়েন ভট্টাচার্য সুপ্তসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।