টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালের সই করা চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে ।
বহিষ্কারাদেশ পত্রে উল্লেখ করা হয়, কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদ এর বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড ও হাজারো গুম খুনের মহানায়ক বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ব্যবসায়িক অংশীদারের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদ। তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় লে. কর্ণেল পদ থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতিতে যুক্ত হন। এলাকায় গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও মানুষদের আর্থিক সাহায্য করেন।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, ‘আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা ধরণের অভিযোগ আসছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ডামি নির্বাচনে ঢাকার প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া এবং মধুপুরে জনৈক প্রার্থীকে আর্থিক সহযোগিতার অভিযোগ উঠে। এছাড়া আয়নাঘরের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউল আহসানের সাথে মিলে মিশে আসাদুল ইসলাম ব্যবসা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই বিষয়গুলো দফায় দফায় তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল (অব:) মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কর্ণেল আজাদ বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা বিএনপির কোনো নেতা কাউকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করতে পারেন না। এ বিষয়টি নিয়ে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করবো। সম্প্রতি আমার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ছড়ানো হচ্ছে।’