রাজবাড়ী: নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় এক সপ্তাহের মাথায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম এক অফিস আদেশে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের অপরাধ শাখায় পরিদর্শক (ক্রাইম) হিসেবে বদলি করেন।
অন্যদিকে, একই আদেশে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ্ আল মামুনকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ এর বদলি পুলিশের নিয়মিত কাজের একটি অংশ মাত্র। দাফতরিক কাজের স্বার্থে তাকে পুলিশ অফিসের ক্রাইম শাখায় বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় শতাধিক মানুষ আহত হন। হামলায় নিহত হন নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় দুটি গাড়ি। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলার মরদেহটি কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে সংঘর্ষে রাসেল মোল্লাকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি, জখম এর অভিযোগের ঘটনায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা আজাদ মোল্লা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।