ঢাকা: দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের অভাব ও স্বচ্ছ শাসনের ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে পশুত্ব বর্জন করতে হবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘প্রাণী ও প্রাণের মেলা’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে মানবিক ও পরিবেশ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পশু-পাখি সংরক্ষণে সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে শুধু আইন করলেই প্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, সমাজের সব নাগরিকের সচেতনতাও জরুরি। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা এবং বন্য প্রাণী রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ মানুষের প্রয়োজনে প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র যখন মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তখনও আমরা প্রাণী রক্ষা নিয়ে আলোচনা করছি। গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার বিদ্যমান থাকলে বাস্তবিকভাবে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকে।”
তারেক রহমান বলেন, শুধু আইন করে নয়, প্রত্যেক নাগরিককে নিজ দায়িত্বে প্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে হবে।
‘গণতন্ত্রহীনতা সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা কাটিয়ে উঠতে হলে মানবিক গুণাবলি বিকশিত করতে হবে। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার বিদ্যমান থাকলে বাস্তবিকভাবেই বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকে। তাই মনুষ্যত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার,’ তিনি বলেন।
প্রাণী ও প্রাণের মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা প্রাণী সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রাণী সংরক্ষণে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।