পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি পৃথক সংঘর্ষে ১৯ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়িয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি বাদার এলাকায়। সেখানে সামরিক গাড়িবহর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যাপক গোলাগুলির পর ১২ জন সেনা এবং ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলায় কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন।
ইসলামাবাদ দাবি করে, পাকিস্তানি তালেবান একটি জিহাদি গোষ্ঠী, যা আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে। এই গোষ্ঠীটি হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা সৈন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ড্রোনও জব্দ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালের হামলার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা আকাশে হেলিকপ্টার দেখতে পেয়েছেন, যা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল এবং হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল।
সেনাবাহিনী আরেকটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লোয়ার দির এলাকায় জঙ্গিদের একটি আস্তানা খুঁজে পাওয়ার পর সৈন্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরও সাতজন সেনা এবং ১০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করে, পাকিস্তানি তালেবানকে আফগান তালেবান প্রশাসন ভারতের সহায়তায় আশ্রয় দিচ্ছে, যা কাবুল এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ। তবে উভয় দেশই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠীটি আফগান তালেবান দ্বারা অনুপ্রাণিত।
২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠীটি পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তান আশা করে যে আফগান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেবে না।’