ঢাকা: ফের টানা দরপতনের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। দরপতনের সঙ্গে লেনদেনের মন্দাভাবও ফিরে এসেছে। তবে এর মাঝেও অব্যাহত রয়েছে মন্দ শেয়ারের দাপট। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচকের মাঝারি পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেনও কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সকালে সূচকের বড় ধরনের উত্থান দিয়ে শুরুর পর দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৫.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.৯০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২২.০৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই-তে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬টির। এই দরবৃদ্ধির মধ্যে মন্দ বেশ কিছু কোম্পানি ছিল যার কারণে সূচকের পতন আটকানো সম্ভব হয়নি।
এদিন ডিএসই-তে মোট ৭৩২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে সপ্তাহেও একদিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এরপর দিন লেনদেন কমে আসে ১৪শ’ কোটি টাকায়। শেষ পর্যন্ত রবিবারে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩২ কোটি টাকায়।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৫.৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৪২২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৮.৩৮ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৬.২৫ পয়েন্ট কমে ৯৭৩ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২১৪.৩৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসই-তে মোট ২০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির, কমেছে ১২৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টির। সিএসই-তে ১২ কোটি ০৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।