Saturday 08 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্য ঘাটতি কমলে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমতে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:২৯ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৫

রোববার সচিবালয়ে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন – ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বে ঢাকা সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরও কিছুটা কমানোর বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তিনদিনের সফরে ঢাকায় এসেছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।

বিজ্ঞাপন

সরকারি হিসাবে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বর্তমানে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে চলমান আলোচনা রয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের শুল্ককে কমানোর বিয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। শুল্ক কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি জানান, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে দেশটি থেকে যেসব পণ্য কেনা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত কৃষি ও জ্বালানি পণ্যের পাশাপাশি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কেনাকাটার বিষয়েও ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষত: যুক্তরাষ্ট্রের তুলার ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের পোশাক শিল্পে আরেকটু অতিরিক্ত শুল্ক আদায়ের চেষ্টা করছি। আমাদের আজকে আলোচনার এটা অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল। আমরা মনে করছি সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো শুল্কচুক্তি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, চুক্তি করার লক্ষ্যে এ আলোচনাগুলো হচ্ছে। কবে শুল্ক চুক্তি হবে, সে বিষয়ে তারা ফিরে গিয়ে একটা সময় জানাবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি, আমরা যে কমিটমেন্ট করেছিলাম, সেখানে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে। অগ্রগতি হয়েছে তো, গত অর্থবছরে আমরা ৬০০ মিলিয়ন ডলার তুলা কিনেছি। এ বছর দুই মাসেই তা ২৭৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে, গম কিনেছি। এগুলো আমরা তাদের বলেছি।

রাশিয়ার চেয়ে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম কেনা হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, আমেরিকার গম ও রাশিয়ার গমের মধ্যে তুলনামূলকভাবে গুণগত পার্থক্য রয়েছে। আমেরিকার গমের প্রোটিন কনটেন্ট রাশিয়ার গ্রামের প্রোটিন কনটেন্টের চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ ভাগ বেশি।

প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের গমের মূল্যের পার্থক্য হয় বলেও জানান উপদেষ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং-এর থেকে বিমান কেনার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আজ কেনার অর্ডার দিলাম, সামনের বছর পেয়ে গেলাম এমন ঘটনা ঘটবে না। এটি দীর্ঘমেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে।