ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) একসঙ্গে জন্ম নেওয়া জমজ ৬ শিশুর মধ্যে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ নিয়ে চারজন শিশু মারা গেল।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিএইচই’তে মারা যায় দুই নবজাতক। এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় এবং রাতে আরও দুইজন শিশু মারা গেছিল। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার।
ছয় সন্তান জন্ম দেওয়া ওই নারীর নাম মোকসেদা আক্তার প্রিয়া। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী।
রোববার সকাল ৯টার দিকে গাইনি বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে প্রিয়া (২৩) ৬ সন্তানের জন্ম দেন।
ফারজানা আক্তার জানান, ৬ নবজাতকের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেলের এনআইসিএইচইতে, আর বাকি ৩ জনকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ঢাকা মেডিকেলে থাকা ২ নবজাতক আজ সকালে মারা গেছে। গতরাতে বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশু মারা গেছে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় এক শিশু মারা যায়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে দুই শিশু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মা প্রিয়া ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
ফারাজানা আরও জানান, প্রিয়ার গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহ চলছিল। এলাকাতেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছিলেন। সেখানে আল্ট্রাসানোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে পারেন, এক দুটি নয়; তার গর্ভে পাঁচ সন্তান রয়েছে।
তিনি জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে প্রিয়া নিজের বড় বোন লিপির বাসায় আসেন। সেখান থেকে মনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সর্বশেষ গতরাতে ব্যথা শুরু হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের এনে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল ৯টার দিকে ৫টি নয়, নরমালভাবে ৬ সন্তান প্রসব করেন তিনি।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন বলেছিলেন, ‘সকালে এক মা স্বাভাবিকভাবে ৬ নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহের চলছিল তার। বাচ্চাগুলো অপরিপক্ক ছিল। যাদের ওজন ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত।’
 
                                     
                         
                         
                        