Tuesday 16 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসপিএম’র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে কন্ট্রাক্টর নিয়োগের দরপত্র বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:১১

কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প – (ফাইল ছবি : সংগৃহীত )

ঢাকা: সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম)-এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কন্ট্রাক্টর নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্র বাতিল করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভায় এ দরপত্র বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

উল্লেখ্য, আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে খালাস করার জন্য বিগত সরকারের আমলে কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প বাস্তবাস্তবায়ন করা হয়।

জানা যায়, গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি-কে জি-টু-জি ভিত্তিতে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার হিসেবে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কাজটি একটি বিশেষায়িত কাজ হওয়ায় অধিকসংখ্যক দরদাতা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলে কাজের মান সন্তোষজনক হবে এবং দরমূল্য কম পাওয়া যাবে- এমন চিন্তা-ভাবনায় এ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ জি-টু-জি (সরাসরি) এর পরিবর্তে পিপিএ ও পিপিআর-এর আওতায় প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ক্রয় সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (চলতি পঞ্জিকা বছরের ৪৭তম) এলএনজি আমদানি এবং রাশিয়া ও কানাডা থেকে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাবসহ ৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, এলএনজি কার্গোটি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৮৮ ডলার দরে এতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সার আমদানির দুই প্রস্তাবের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি এর আওতায় বিএডিসি’র মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে। উভয় প্রস্তাবেই প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার। এর মধ্যে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রুডিনটর্গ) থেকে ৩য় লটে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা এবং ‘কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন’ থেকে ৭ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা বিভাগে বিদুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধনে দুটি পৃথক প্যাকেজে (প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১১ ও ডব্লিউ-৩) মোট ৯টি নতুন ৩৩/১১ কেভি ১x১০/১৪ এমভিএ জিআইএস টাইপ বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১১-এর আওতায় ৪টি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজটি করবে যৌথভাবে ‘টিএস ট্রান্সফরমারস লিমিটেড-এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কনসোর্টিয়াম’। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
অপর প্যাকেজ-৩-এর আওতায় ৫টি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজটি করবে ‘রিভেরি পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ১৫১ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

এছাড়া বৈঠকে ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড’-এর আওতাধীন ‘বিবিয়ানা দক্ষিণ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদুৎ কেন্দ্র’-এর মেরামত কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি করবে জামর্মানির প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব ‘সিমেন্স এনার্জি গ্লোবাল জিএমবিএইচ অ্যান্ড কোং’ এবং ‘সিমেন্স এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৯০১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

এদিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র সভায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ইউরিয়া সার আমদানির লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর প্রতিষ্ঠান ‘ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড’-এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি’র চুক্তি সইয়ের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/আরএস

ক্রয় কমিটি সার ও এলএনজি কার্গো আমদানি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর