Wednesday 24 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের জন্য জাপান ১২তম বৃহত্তম বাজার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০৮ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৩০

ডিসিসিআই’র সভাপতি তাসকীন আহমেদ ও রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জাপানের সহযোগিতা অনস্বীকার্য। সেইসঙ্গে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে দীর্ঘদিনের।

তিনি বলেন, ‘ইপিবি-এর তথ্য মতে, ২০২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ও ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রফতানির পণ্যের জন্য জাপান ১২তম বৃহত্তম বাজার।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি-এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ডিসিসিআই সভাপতি এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘জাপানের উদ্যোক্তারা সার, নির্মাণ, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও প্রোটেলিয়াম প্রভৃতি খাতে ইতোমধ্যে ৫০৭ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছে, যদিও জাপানের মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ হলো ১৮৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’ এ সময় তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ প্রদত্ত নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগের আসার আহ্বান জানান।

এ ছাড়াও বাংলাদেশের অটোমোবাইল, মেশিনারি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি লজিস্টিক, পাট ও পাদুকা, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে জাপানের কারিগরি ও প্রযুক্তি সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন তাসকীন আহমেদ।

বিশেষ করে বাংলাদেশের এসএমই খাতের সক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্যের রফতানির বাজার সম্প্রসারণে জাপানের সহযোগিতার আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটাকে কাজে লাগাতে সামগ্রিক শিল্পকাঠামোর বহুমুখীকরণের পাশাপাশি সরকারি সেবা প্রদানে দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার অন্যতম অনুষঙ্গ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বাজার ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বিনিয়েগের বিদ্যমান সুবিধাগুলো বিবেচনায় নিয়ে জাপানের উদ্যোক্তারা এ দেশের বিনিয়োগ এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদের তার দেশে কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগ রয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণের দুদেশের মধ্যকার ইকোনোমিক পার্টারনশীপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) সইয়ের লক্ষ্যে ৭ম সভা সম্প্রতি টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রয়োজনীয় সংলাপের মাধ্যমে অতিদ্রুত এটি সই হবে, যা দুদেশের অর্থনীতিতে নতুন গতির সঞ্চার করবে।’

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/এইচআই
বিজ্ঞাপন

খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:১৭

শুভ বড়দিন আজ
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর